ইন্ডাক্টিভ বাইবেল অধ্যয়নের ৩টি ধাপ
- লক্ষ্য করা – মনোযোগ সহকারে লেখাটিতে কি কি পাওয়া যায়, তা দেখা, পর্যবেক্ষণ করা, খেয়াল করা। দেখ! দেখ! দেখ!
- ব্যাখ্যা করা – পুস্তকের ঐতিহাসিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করে এই প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করা: যারা এই পুস্তকটি বা এই লেখা প্রথম পেয়েছিল, তাদের কাছে এর অর্থ কি ছিল?
- প্রয়োগ করা – পুস্তকটি আমাদের বর্তমান দিনের জন্য কি বলে? আমার বাক্যটির সাড়ায় কি করা দরকার?
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তকটি এক নাগারে পড়ে ফেলেন।
- জোরে পড়ুন কারণ জোরে পড়লে তবে আপনার চোখ, কান এবং মুখ কাজে লাগানো হয়। ৩টি ইন্দ্রীয় ব্যবহৃত হলে আমাদের মনে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
- পুস্তকটি প্রথম বার পড়ার উদ্দেশ্য হল পস্তকটির একটি স্বাদ নেওয়া এবং পুস্তকের বড় চিন্তা বা বড় ছবি ধরা।
- দুশ্চিন্তা করবেন না যে ‘সব কিছু’ ধরে রাখতে পারবেন না।
১ম ধাপ: লক্ষ্য করা
নির্দেশনা
- ইন্ডাক্টিভ বাইবেল অধ্যনের প্রথম ধাপ হল লক্ষ্য করা।
- লক্ষ্য করা মানে মনোযোগ সহকারে লেখাটিতে কি কি পাওয়া যায়, তা ভাল করে দেখা, পর্যবেক্ষণ করা, খেয়াল করা। দেখ! দেখ! দেখ!
- ভালভাবে লক্ষ্য করার জন্য আমাদের বিভিন্ন নির্দিষ্ট লক্ষ্যপ্রশ্ন ব্যবহার করব।
- প্রত্যেকটি লক্ষ্য প্রশ্নের জন্য একটি আলাদা রং ব্যবহার করুন। লেখাটি পড়তে পড়তে রং দেন।
- আমরা একটি পর একটি লক্ষ্য প্রশ্ন ধরব:
১ম লক্ষ্য প্রশ্ন কে? > ঈশ্বর
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তকটি পড়ুন এবং যতটা শব্দ ঈশ্বরকে বুঝায় (“পিতা ঈশ্বর”, “প্রভু যীশু”, “খ্রীষ্ট”, “পবিত্র আত্মা” ইত্যাদি), তততে হালকা হলুদ রং দেন।
উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেছে

২য় লক্ষ্য প্রশ্ন কে? > মানুষ
নির্দেশনা
ফিলীমন পুস্তকটি পড়ুন এবং যতটা শব্দ মানুষকে বুঝায় (ব্যক্তি, নাম, দল, গোষ্ঠি, জাতি অথবা এমন কি সর্বনাম), তততে হলুদ রং দেন।
উদাহরণ

নির্দেশনা
ফিলীমন পুস্তকটি পড়ুন এবং যতটা শব্দ মানুষকে বুঝায় (ব্যক্তি, নাম, দল, গোষ্ঠি, জাতি, বর্ণনা, অথবা এমন কি সর্বনাম), তত শব্দটিতে হলুদ রং দেন।
খুঁজে কি কি পাওয়া গেছে

নির্দেশনা
রং দেওয়ার পরে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন:
- চিঠিটি কে লিখেছেন?
- চিঠিটির সহ-লেখক কে?
- চিঠিটি কাদের কাছে লেখা?
- পৌলের সাথে আর কে কে আছে?
- ফিলীমনের সাথে আর কে কে আছে?
- ওনীষিম কোথায়?
- তিনি কার সাথে ছিলেন?
- তিনি এখন কার কাছে যাবেন?
নির্দেশনা
এই লক্ষ্য থেকে নিচে দেওয়া ছবি উঠে আসে:

৩য় লক্ষ্য প্রশ্ন কোথায়? > জায়গা
- ফিলীমন পুস্তকটি আর একবার পড়ুন এবং যে কোনো জায়গা সম্বন্ধীয় শব্দতে নীল রং দেন (যেমন শহর, এলাকা, দেশ ইত্যাদি এবং রূপক অর্থেও, যেমন ‘অন্তরে’, ‘স্বর্গে’ ইত্যাদি)।
উদাহরণ

নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তকটি আর একবার পড়ুন এবং যে কোনো জায়গা সম্বন্ধীয় শব্দটিতে নীল রং দেন।

- ফিলীমন পুস্তকে লক্ষ্য প্রশ্ন ‘কোথায়?’ রং দিলে তেমন বেশি তথ্য পাওয়া যায় না, কোনো শহরের নামও নেই।
- শুধুমাত্র বলা যায় যে পৌল কোথাও জেলে আছেন এবং যে ফিলীমন কোনো একটি শহরে একটি গৃহ মণ্ডলীর নেতা হিসাবে আছেন। তারা কোথায় আছেন, তা খুঁজে বের করতে আরো কাজ লাগবে (শিক্ষার ২য় অংশ দেখুন)।
- ফিলীমন পুস্তকে ভৌগলিক ক্ষেত্রে বেশি কিছু পাওয়া না গেলেও, বাইবেলে অন্যান্য পুস্তক আছে যাতে প্রচুর ভৌগলিক তথ্য পাওয়া যায় (যেমন প্রেরিত, যিহোশূয়)।
৪র্থ লক্ষ্য প্রশ্ন কখন? > সময়
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তকটি আর একবার পড়ুন এবং যে কোনো সময় সম্বন্ধীয় শব্দটিতে সবুজ রং দেন।
- বিভিন্ন ধরণের সময় সম্বন্ধীয় শব্দ থাকতে পারে, যেমন “৩ দিন ধরে”, “সম্রাট আগষ্টের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে”, “পরে”, “যখন … তখন”, “সেই সময়”, “যিরূশালেমে থাকার সময়ে”, “চিরকাল” ইত্যাদি।
উদাহরণ

নির্দেশনা
ফিলীমন পুস্তকটি আর একবার পড়ুন এবং যে কোনো সময় সম্বন্ধীয় শব্দটিতে সবুজ রং দেন।
কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

- যদিও আমরা ফিলীমন পুস্তকে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ পাই না, তবুও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসল: পৌল বন্দী থাকার সময়ে ওনীষিম “তার সন্তান” হয়েছে। আবারও আমরা শুনি যে ওনীষিমের মনোভাব ও চরিত্রের ক্ষেত্রে ‘আগে’ এবং ‘পরে’ আছে, অর্থাৎ তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
৫ম লক্ষ্য প্রশ্ন পার্থক্য?
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তক আবার পড়ুন এবং লক্ষ্য করুন কোনো পার্থক্য দেখানো হয়েছে কিনা।
- পার্থক্য প্রায়ই এই ধরণের শব্দ দিয়ে প্রকাশিত: “কিন্তু”, “বরং”, “যদিও … তবুও”, “ না কি”, “তারপরেও” ইত্যাদি।
- পার্থক্য শব্দ না থাকলেও চিন্তা বা ব্যবহৃত শব্দের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে, যেমন “জীবন” ও “মৃত্যু” বা “আলো” ও “অন্ধকার”।
- কোনো পার্থক্য শব্দ পেলে তাতে লাল রং দেন এবং লিখুন, কোন দু’টি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে।
উদাহরণ

- ফিলীমন পুস্তকে কোনো পার্থক্য শব্দ পেলে তাতে লাল রং দেন এবং লিখুন, কোন দু’টি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে।
কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

- লক্ষ্য করুন যে ১৫ পদে কোনো “কিন্তু” বা “বরং” পাওয়া না গেলেও এখানে একটি পার্থক্য দেখানো হচ্ছে: “চিরকারল” <=> “অল্প কাল”, “ফিরে পাওয়া” <=> “আলাাদা হওয়া”।
- ফিলীমন পুস্তকে পার্থক্যগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পার্থক্য লক্ষ্য করলে পুস্তকের প্রধান বিষয় বুঝা যায়: আদেশ না বরং অনুরোধ, জোর করে না বরং নিজে থেকে, মূল্যহীন আর নয় বরং মূল্যবান, দাস আর নয় বারং ভাই।
৬ষ্ঠ লক্ষ্য প্রশ্ন তুলনা?
নির্দেশনা
- ফিলীমন ৮-২১ পদ পড়ুন এবং তুলনা খুঁজুন।
- তুলনা প্রায়ই এই ধরণের শব্দ দিয়ে প্রকাশিত: “মত”, “যেমন তেমন”, “যেভাবে সেভাবে”, “তার মত আমিও” ইত্যাদি।
- কোনো তুলনা শব্দ পেলে তাতে কমলা রং দেন এবং চিন্তা করুন, কোন দুই বিষয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।
উদাহরণ

- ফিলীমন পুস্তকে কোনো পার্থক্য শব্দ পেলে তাতে লাল রং দেন এবং লিখুন, কোন দু’টি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে।
কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

৭ম লক্ষ্য প্রশ্ন শর্ত
নির্দেশনা
- ফিলীমন ১৭-২১ পদে শর্ত খুঁজুন।
- শর্ত বেশিরভাগ সময় এই শব্দগুলো দিয়ে প্রকাশিত: “যদি … তবে” অথবা “যদি … তাহলে”।
- মাঝের মধ্যে শর্ত এভাবে প্রকাশিত: “যারা … তারা …”, “যে কেউ …”, “যতজন … ততজন”।
- কোনো শর্ত শব্দ পেলে তাতে হালকা কমলা রং দেন এবং চিন্তা করেন, এখানে কি সম্পর্ক দেখানো হয়েছে: ‘কি হলে কি হবে?’
উদাহরণ

কি কি খুঁজে পাওয়া যায়

৮ম লক্ষ্য প্রশ্ন কারণ? উদ্দেশ্য?
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তক আর একবার পড়ুন এবং যে কোনো শব্দতে রং দেন যা একটি কারণ বা উদ্দেশ্য প্রকাশি করে।
- কারণগুলো প্রায়ই এই ধরণের শব্দ দিয়ে প্রকাশিত: “এরজন্য”, “ফলে”, “সুতরাং”, “যেহেতু”, “বলে”,
- উদ্দেশ্যগুলো প্রায়ই এই ধরণের শ্বদ দিয়ে প্রকাশিত: “যেন”, “যাতে”, “উদ্দেশ্যে”।
- কারণ বা উদ্দেশ্য শব্দ পেলে তাতে খৈরী রং দেন এবং চিন্তা করেন এখানে কারণ কি এবং ফলাফল কি। অথবা এখানে আচরণ কি এবং তার উদ্দেশ্য কি।
উদাহরণ

- ফিলীমন পুস্তকে কারণ বা উদ্দেশ্য শব্দ পেলে তাতে খয়েরী রং দেন এবং চিন্তা করেন এখানে কারণ কি এবং ফলাফল কি। অথবা এখানে আচরণ কি এবং তার উদ্দেশ্য কি।
কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

- কারণ বা উদ্দেশ্য শব্দগুলো সাধারণত ঘনঘন পাওয়া যায়।
- এইগুলো লক্ষ্য করলে আমরা লেখকের চিন্তা, যুক্তি বা লেখার উদ্দেশ্য বুঝতে পারি।
৯ম লক্ষ্য প্রশ্ন আবেগ?
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তক আর একবার পড়ুন এবং যে কোনো শব্দ বা বাক্য যাতে আবেগ প্রকাশ পায়, তাতে বেগুনী রং দেন।
- আবেগ প্রকাশে প্রায়ই এই ধরণের শব্দ পাওয়া যায়: “আনন্দ”, “উৎসাহ”, “দুশ্চিন্তা” ইত্যাদি।
- কিন্তু অনেক বার এই ধরণের কোনো শব্দ পাওয়া না গেলেও কথাটিতে অনেক আবেগ প্রকাশিত। প্রায়ই একটি অনুচ্ছেদ একসাথে একটি আবেগ প্রকাশ করে, ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক হোক।
- ফিলীমন পুস্তক আর একবার পড়ুন এবং আবেগ ধরণের শব্দ পেলে তাতে বেগুনী রং দেন। সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদে যদি একটি আবেগ প্রকাশিত তবে কিনারায় বেগুনী রঙ্গের দাগ দেন।
- কিন্তা করুন ঠিক কি আবেগ এখানে প্রকাশ পায়।
উদাহরণ

কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

- ফিলীমনের আমরা পৌলের অনেক আবেগের প্রকাশ পাই।
- ফিলীমন ২ এবং ৪-৭ পদে পৌল ফিলীমনকে খুব সুন্দরভাবে প্রশংসা করেন এবং প্রকাশ করেন তিনি তার কাছ থেকে কত উৎসাহ পেয়েছেন।
- ফিলীমন ১০-১৬ পদে পৌল ওনীষিমের বিষয়ে আবেগময় ও আন্তুরিক সুপারিশ দেন।
- ফিলীমন ১৭-২১ পদে পৌল সম্মানজনকভাবে কিন্তু একসাথেও বেশ কিছু চাপ তৈরি করে ফিলীমনকে তার দাসকে গ্রহণ করতে বলেন। আসলে এই অনুচ্ছেদে বেশ কিছু চাপ বা টান বা জোর পাওয়া যায় এবং তা দেখে অবশ্যই কিছু প্রশ্ন উঠে। এই ধরণের বিষয় লক্ষ্য করে মনে রাখুন। যখন ব্যাখ্যা করব তখন এই প্রশ্নগুলো তোলা হবে।
১০ম লক্ষ্য প্রশ্ন জোরালো উক্তি? শক্তিশালী ভাষা?
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তক আর একবার পড়ুন এবং লক্ষ্য করুন কোনো জোরালো উক্তি বা সাধারণ ভাষার চেয়ে শক্তিশালী শব্দ পান কিনা।
- জোরালো উক্তি যেখানে আছে, প্রায়ই সাথে আবেগও পাওয়া যায়, তাই আমরা বেগুনী রং ব্যবহার করতে থাকি কিন্তু একটি চিহ্ন ব্যবহার করি (যেমন তারা)।
কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

- এই পুস্তকে পৌল খুব জোরের সঙ্গে, আসলে শপথের মত বলেন যে তিনি ওনীষিমের জন্য ক্ষতিপূরণ করতে বা অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিতে রাজি। তিনি ফিলীমনকে ‘না’ বলতে বেশি সুযোগ দেন না।
১১ম লক্ষ্য প্রশ্ন রূপক ভাষা?
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তক আর একবার পড়ুন এবং রূপক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা লক্ষ্য করুন।
- জোরালো উক্তির মত অনেক বার রূপকের সাথেও আবেগ প্রকাশিত। তাই আমরা আবারও বেগুনী রং ব্যবহার করি কিন্তু অন্য একটি চিহ্ন দেই।
কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

- প্রাথমিকভাবে পৌল একটি রূপক শব্দ ব্যবহার করেন, তিনি ওনীষিমকে আপন “সন্তান” বলেন, একটি সুন্দর ও অর্থপূর্ণ শব্দ। ব্যাখ্যা করার সময়ে আমরা জিজ্ঞাসা করব: এই রূপরের অর্থ কি? এই রূপকের গুরুত্ব কি?
১২ম লক্ষ্য করার প্রশ্ন আদেশ
নির্দেশনা
- ফিলীমন পুস্তকে আর একবার পড়ুন এবং লক্ষ্য করুন লেখক কোনো আদেশ দেন কিনআ।
- আদেশে লেখকের উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়, তাই সেগুলো লক্ষ্য করা ভাল। নতুন নিয়মের চিঠিতে আদেশগুলো বেশিরভাগ চিঠির শেষ অংশে পাওয়া যায় যেখানে প্রয়োগ দেখানো হয়।
- আদেশ পেলে কিনারায় একটি বড় আশ্চর্যমূলক চিহ্ন রাখুন।
কি কি খুঁজে পাওয়া গেছে

লক্ষ্য করার বিষয়ের একটি সারাংশ
- আসলে আর অনেক লক্ষ্য করার বিষয় থাকত, কিন্তু আমরা ফিলীমন পুস্তকের জন্য এতদূর লক্ষ্য করব।
- কিছু লক্ষ্য করার বিষয় আছে যা ফিলীমন চিঠিতে পাওয়া যায় না (যেমন: তালিকা, ক্রমবৃদ্ধি, পুরাতন নিয়মের উদ্ধৃতি, প্রতিজ্ঞা ইত্যাদি) কিন্তু তা অন্য পুস্তকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হতে পারে।
- নিচে লক্ষ্য প্রশ্নের একটি সম্পূ্র্ণ তালিকা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষগুলো শুরুতে এবং কম পাওয়া যাওয়ার লক্ষ্যগুলো নিচের দিকে দেওয়া হয়েছে।
১। কে? who?
খুঁজে বের করুন: যে কোনো নাম, টাইটেল, মণ্ডলী, দল, গোষ্ঠি, জাতি। বড় পুস্তকে সর্বনামে (“আমি”, “তাদের”, “যিনি” ইত্যাদি) রং দেবেন না।
নিজেকে প্রশ্ন করুন: কে কথা বলেন (লেখেন)? কাদের কাছে কথাটি বলা হয়েছে? আর কার কাকে উল্লেখ করা হয়েছে?
২। কখন? when?
খুজে বের করুন: যে কোনো সময় সম্বন্ধীয় শব্দ। যেমন: “আগে”, “এখন”, “যখন তখন”, “সেই সময়ে”, “দায়ূদের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে” ইত্যাদি।
নিজেকে প্রশ্ন করুন: আগে কি ঘটেছে? এখন কি ঘটছে? কি ঘটবে ভবিষতে? কত দিন ধরে চলছে? কখন শুরু? কখন পরিবর্তন হয়েছে?
৩। কোথায়? where?
খুঁজে বের করুন: যে কোনো স্থান, জায়গা, শহর, জেলা, দেশ। যেমন: “উপসনা ঘরে”, “যিরূশালেমে”, “ইস্রায়েলে”, সমুদ্রে”, “অন্তরে”, স্বর্গে”।
৪। কি বিষয়? what?
নিজেকে প্রশ্ন করুন: কি কি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে? কোন বিষয়ে লেখক বেশি প্রাধান্য দেন?
৫। পুনরুক্তি শব্দ? পুনরুক্তি বিষয়? repeated theme?
নিজেকে প্রশ্ন করুন: কি কি শব্দ বার বার উল্লেক করা হয়েছে? কি কি বিষয়, ধারণে, প্রসঙ্গ বা ব্যপার লেখক বার বার উল্লেখ করেন? পুনরুক্তি বিষয় মানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূল বিষয় কি? পুস্তকের প্রধান ধারণা কি?
৬। পার্থক্য ”….. না, বরং …..” contrast
খুজে বের করুন: যে কোনো পার্থক্যমূলক শব্দ, যেমন: “কিন্তু”, “বরং”, “তবুও”, “তথাপি”, “কিংবা”, “না কি”। “দিন – রাত”, “আলো – অন্ধকার”।
নিজেকে প্রশ্ন করুন: কোন দু’টি বিষয়, ধারণা, ঘটনা বা মনোভাবের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে? এর ফল কি? অন্যটার ফল কি?
৭। তুলনা “যেমন …… তেমন …..” comparison?
খুজে বের করুন: যে কোনো তুলনামূলক শব্দ, যেমন “চেয়ে”, “মত”, “যেমন”, “তেমনি”, “যেভাবে সেভাবে”, “তিনিও” ইত্যাদি।
নিজেকে প্রশ্ন করুন: কোন দু’টি বিষয়, ধারণা, আচরণ বা মনোভাবের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে? মিল পাওয়া গেছে? কোনটা আরো ভাল?
৮। শর্ত “যদি ….. তবে …..” condition?
খুঁজে বের করুন: যে কোনো শর্তমূলক শব্দ, যেমন: “যদি … তবে”, “যদি … তাহলে”, “পালন করলে”, “যারা … তারা”, “যতজন … ততজন”।
নিজেকে প্রশ্ন করুন: কি শর্ত রাখা হয়েছে? কি করলে কি হবে? না করলে কি হবে?
৯। সংযোগ কারণ, ফলাফল, উদ্দেশ্য connective?
খুঁজে বের করুন: যে কোনো সংযোগমূলক শব্দ, যেমন: “এজন্য”, “একারণে”, “সুতরাং”, “তদ্রুপ”, “ফলে”, “বলে”, “যেন”, “যাতে”, “তাতে”।
১০। সারাংশ? উপসংহার? “অতএব”, “তদ্রুপ”, “তথাপি”, “এইরূপে”, “অবশেষে” summary? conclusion?
১১। আবেগ? ভাব? কি কি আবেগ প্রকাশ করা হয়েছে? লেখকের কেমন লাগে? emotion?
১২। জোরালো উক্তি? emphatic statement?
খুঁজে বের করুন: সাধারণ ভাষার চেয়ে যে কোনো শক্তিশালী কথা, যেমন: “সত্যি, সত্যি”, “দেখ”, “আমি তোমাদের বলছি”, “আমি, পৌল”
১৩। রূপক ভাষা? বাক্যলঙ্কার? figures of speech?
১৪। সাহিত্যিক প্রশ্ন type of literature?
নিজেকে প্রশ্ন করুন: লেখাটি কি গদ্য না পদ্য? পুস্তকের কাঠামো কি? কি ধরণের রচনা ব্যবহার করা হয়েছে?
১৫। আদেশ? নির্দেশ? প্রতিজ্ঞা? সাবধানবাণী? ভবিষ্যদ্বাণী? command? promise? warning? prediction?
১৬। সাধারণ প্রশ্ন? চেতনাদায়ক প্রশ্ন? question? rhetorical?
১৭। তালিকা? ক্রমবৃদ্ধি? list? progression?
নিজেকে প্রশ্ন করুন: কোনো তালিকা আছে? তালিকা কি সাজানো আছে? তালিকার মধ্যে ক্রমবৃদ্ধি আছে? চিন্তার ক্রমবৃদ্ধি? আবেগের ক্রমবৃদ্ধি?
১৮। লেখক তার যুক্তির সমর্থন কিভাবে দিয়েছেন? logic of argument?
১৯। উপমা? illustration?
২০। উদ্ধৃতি? পুরাতন নিয়মের উদ্ধৃতি? quotation? OT quote?
২১। পুস্তক কিভাবে শুরু? কিভাবে শেষ? beginning? end?
আমরা ফিলীমন চিঠিতে যত্ন সমকারে লক্ষ্য করে এসেছি। এভাবে আমরা এই চিঠি আরো বুঝার জন্য প্রয়োজনীয় পস্তুতি কাজ করেছি। পরবর্তী শিক্ষা হল “ফিলীমন ০২ – ঐতিহাসিক পরিস্থিতি বোঝা”।