ইন্ডাক্টিভ বাইবেল অধ্যয়নের ৩টি ধাপ
  • লক্ষ্য করা – মনোযোগ সহকারে লেখাটিতে কি কি পাওয়া যায়, তা দেখা, পর্যবেক্ষণ করা, খেয়াল করা। দেখ! দেখ! দেখ!
  • ব্যাখ্যা করা – পুস্তকের ঐতিহাসিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করে এই প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করা: যারা এই পুস্তকটি বা এই লেখা প্রথম পেয়েছিল, তাদের কাছে এর অর্থ কি ছিল?
  • প্রয়োগ করা – পুস্তকটি আমাদের বর্তমান দিনের জন্য কি বলে? আমার বাক্যটির সাড়ায় কি করা দরকার?

নির্দেশনা

  • ফিলীমন পুস্তকটি এক নাগারে পড়ে ফেলেন।
  • জোরে পড়ুন কারণ জোরে পড়লে তবে আপনার চোখ, কান এবং মুখ কাজে লাগানো হয়। ৩টি ইন্দ্রীয় ব্যবহৃত হলে আমাদের মনে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
  • পুস্তকটি প্রথম বার পড়ার উদ্দেশ‍্য হল পস্তকটির একটি স্বাদ নেওয়া এবং পুস্তকের বড় চিন্তা বা বড় ছবি ধরা।
  • দুশ্চিন্তা করবেন না যে ‘সব কিছু’ ধরে রাখতে পারবেন না।

১ম ধাপ: লক্ষ্য করা

নির্দেশনা

  • ইন্ডাক্টিভ বাইবেল অধ্যনের প্রথম ধাপ হল লক্ষ্য করা।
  •  লক্ষ্য করা মানে মনোযোগ সহকারে লেখাটিতে কি কি পাওয়া যায়, তা ভাল করে দেখা, পর্যবেক্ষণ করা, খেয়াল করা। দেখ! দেখ! দেখ!
  • ভালভাবে লক্ষ্য করার জন্য আমাদের বিভিন্ন নির্দিষ্ট লক্ষ্যপ্রশ্ন ব্যবহার করব।
  • প্রত্যেকটি লক্ষ্য প্রশ্নের জন্য একটি আলাদা রং ব্যবহার করুন। লেখাটি পড়তে পড়তে রং দেন।
  • আমরা একটি পর একটি লক্ষ্য প্রশ্ন ধরব:
১ম লক্ষ্য প্রশ্ন               কে? > ঈশ্বর

নির্দেশনা

  • তীত পুস্তকটি পড়ুন এবং যতটা শব্দ ঈশ্বরকে বুঝায় (“পিতা ঈশ্বর”, “প্রভু যীশু”, “খ্রীষ্ট”, “পবিত্র আত্মা” ইত্যাদি), তততে হালকা হলুদ রং দেন।

উদাহরণ

নির্দেশনা

ফিলীমন পুস্তকটি পড়ুন এবং যতটা শব্দ মানুষকে বুঝায় (ব্যক্তি, নাম, দল, গোষ্ঠি, জাতি, বর্ণনা, অথবা এমন কি সর্বনাম), তত শব্দটিতে হলুদ রং দেন।

উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেছে

  • তীত ১:১ পৌল
  • তীত ১:৪ তীত
  • তীত ১:৫ ক্রীট দ্বীপে মণ্ডলীগুলো
  • তীত ১:৭ মণ্ডলীর পরিচালক
  • তীত ১:১০ যারা ছলনা করে ও সুন্নত করানোর উপর জোর দেয়
  • তীত ১:১২ ক্রীট দ্বীপের একজন নবী, ক্রীট দ্বীপের লোকেরা
  • তীত ২:২ বৃদ্ধরা
  • তীত ২:৩ বয়স্কা স্ত্রীলোকেরা
  • তীত ২:৩-৪ যুবতী মেয়েরা, তাদের স্বামী ও ছেলেমেয়ে
  • তীত ২:৬ যুবকেরা
  • তীত ২:৯ দাসেরা
  • তীত ৩:১ শাসনকর্তারা ও যাদের হাতে ক্ষমতা আছে
  • তীত ৩:১২ আর্তিমা, তুখিক
  • তীত ৩:১৩ উকিল সীনা, আপল্লো

 

নির্দেশনা

নিচে দেওয়ার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন:

  • চিঠিটি কে লিখেছেন? তিনি নিজের বর্ণনায় কি বলেন?
  • চিঠির প্রাপক কে? তার বর্ণনায় লেখক কি বলেন?
  • লেখকের সাথে আর কে কে আছেন? লেখক হয়তো কাকে পাঠাবেন?
  • কে যাত্রার পথে প্রাপকের সাথে দেখা করবেন?

 

বিবেচনা করুন

  • পৌল তীত চিঠির লেখক। তিনি নিজেকে ঈশ্বরের দাস ও খ্রীষ্টের একজন প্রেরিত বলেন।
  • চিঠির প্রাপক তীত। পৌল তাকে সত্যিকারের সন্তান বলেন।
  • আর্তিমা ও তুখিক পৌলের সাথে আছেন। পৌল তাদেরকে অথবা তাদের মধ্যে একজনকে পাঠাবেন যেন তীতের ভূমিকা পালন করে তীত মুক্ত হন পৌলের সাথে আবার যোগ দিতে।
  • উকিল সীনা ও আপল্লো শীঘ্রই যাত্রা পথে তীতের সাথে দেখা করবেন। পৌল অনুরোধ করেন যেন তীত তাদেরকে সাহায্য করেন। হতে পারে সীনা ও আপল্লো তীতের কাছে এই চিঠির বাহক।

 

শিক্ষা

  • কে প্রশ্ন লক্ষ্য করে কমবেশি এই ছবি দেখা যায়:
৩য় লক্ষ্য প্রশ্ন কোথায়? > জায়গা

নির্দেশনা

তীত চিঠি পড়ুন এবং যে কোনো জায়গা সম্বন্ধীয় শব্দটিতে নীল রং দেন (যেমন শহর, এলাকা, দেশ ইত্যাদি কিন্তু রূপক অর্থেও যেমন ‘অন্তরে’, ‘স্বর্গে’)।

খুঁজে কি কি পাওয়া গেছে

৪র্থ লক্ষ্য প্রশ্ন কখন? > সময়

 

নির্দেশনা

তীত চিঠি পড়ুন এবং যে কোনো সময় সম্বন্ধীয় শব্দটিতে ফিরোজা রং দেন (যেমন “আগে”, “চিরকাল”, “শীতকালে” ইত্যাদি)।

 

উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেছে

৫ম লক্ষ্য প্রশ্ন পুনরুক্তি বিষয়? > ভাল চরিত্র বা আচরণ > খারাপ চরিত্র বা আচরণ

 

নির্দেশনা

পড়ার সময় অবশ্যই চোখে পড়ে যে, তীত চিঠিতে ভাল ও খারাপ চরিত্র এবং ভাল ও খারাপ আচরণ নিয়ে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়: মণ্ডলীর নেতাদের কেমন হওয়া উচিত, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কেমন হওয়া উচিত, যুবক-যুবতীদের, দাসদের এবং তীত নিজের কেমন হওয়া উচিত – এবং কেমন হওয়া উচিত নয়।
তীত চিঠি আর একবার পড়ুন এবং যত শব্দগুলো ভাল আচরণ বা চরিত্র বর্ণনা করে, সেগুলোতে হালকা সবুজ রং দেন। যত শব্দগুলো খারাপ আচরণ ও চরিত্র বর্ণনা করে, তত শব্দগুলোতে গাঢ় সবুজ রং দেন। লক্ষ্য করুন এই চিঠিতে পৌল এই বিষয়ে কত কথা খরচ করেন!

 

উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেছে

৬ম লক্ষ্য প্রশ্ন পুনরুক্তি বিষয়? > শিক্ষা দান, বুঝিয়ে বলা, সংশোধন করা

নির্দেশনা

তীত চিঠি আর একবার পড়ুন এবং যত ক্রিয়াগুলো শিক্ষা দান, সংশোধন, উৎসাহ বা চ্যালেঞ্জ দান ইত্যাদি তত শব্দগুলোতে হালকা গোলাপী রং দেন।

 

উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেছে

৭ম লক্ষ্য প্রশ্ন পুনরুক্তি বিষয়? > সত্য, সঠিক শিক্ষা > মিথ্যা, প্রতারণা

নির্দেশনা

তীত চিঠি আর একবার পড়ুন এবং যত শব্দগুলো সত্য বা সঠিক শিক্ষা বর্ণনা করে, ততগুলোতে হালকা বেগুনী রং দেন। যত শব্দগুলো মিথ্যা, প্রতারণা, ছলনা ইত্যাদি বর্ণনা করে, তত শব্দগুলোতে গাঢ় বেগুনী রং দেন।

উদাহরণ

 

খুঁজে কি কি পাওয়া গেল

৮ম লক্ষ্য প্রশ্ন পার্থক্য?

 

নির্দেশনা

তীত চিঠি আর একবার পড়ুন এবং যত শব্দগুলো পার্থক্য্ বুঝায় তত শব্দগুলো লাল রং দেন।

 

উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেল

শিক্ষা

একটি পার্থক্য একটি পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে, কিন্তু বেশ কয়েক অনুচ্ছেদ সম্বন্ধীয়, এমন কি একটি সম্পূর্ণ পুস্তক সম্বন্ধীয়ও হতে পারে। যেমন এখানে: পৌল তীত ১:৬-২:১০ অনেক অনুচ্ছেদ ধরে ভাল গুন, ভাল চরিত্রের ও ভাল আচরণের বিষয়ে কথা বলেন। তীত ২:১১ এই “কিন্তু” আসলে পুস্তকের দ্বিতীয় ভাগের প্রার্ম্ভিকা। তীত ২:১১ পদে পৌল বুঝান এই ভাল গুন, চরিত্র ও আচরণের ভিত্তি কি: মাত্র যীশুর দয়ায় ও পবিত্র আত্মার দ্বারাই এই ভাল গুন, চরিত্র ও আচরণ সম্ভব। তাই পুস্তকের ১ম অংশ হল ভাল চরিত্র বর্ণনা, পুস্তকের ২য় অংশ দেখায় তা কিভাবে সম্ভব। আসলে তীত ২:১১-১৪ হল চিঠির মূল অনুচ্ছেদ।

 

৯ম লক্ষ্য প্রশ্ন সংযোগ?

 

নির্দেশনা

তীত চিঠি আর একবার পড়ুন এবং যত শব্দগুলো সংযোগ জাতীয় (যেমন “একারণে”, “কারণ”, “ফলে”, “জন্য”, “যাতে”, “যেন” ইত্যাদি) তত শব্দগুলোতে বাদামী রং দেন। সংযোগ হতে পারে কারণ (“এজন্য”, “কারণ”, “ফলে”) অথবা উদ্দেশ্য (“যেন”, “যাতে”)।

 

উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেল

আসলে সংযোগ অনেক পাওয়া যায়। এখানে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে:

১০ম লক্ষ্য প্রশ্ন আদেশ?

 

নির্দেশনা

তীত চিঠি আর একবার পড়ুন এবং যত আদেশ খুঁজে পান, ততগুলো নিয়ে একটি তালিকা বানান। বা‍ংলা সাধারণ অনুবাদে অনেক আদেশ “যেন”, “দারকার” হিসাবে দিয়ে দেখানো হয়েছে, সেগুলোও খেয়াল করুন।

 

উদাহরণ

খুঁজে কি কি পাওয়া গেল

অবশ্যই আরো লক্ষ্য করা যেত, কিন্তু তীত চিঠির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো আমরা করেছিলাম।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.