নতুন নিয়মের মণ্ডলীতে বিভিন্ন নারীরা
নতুন নিয়মের লেখকেরা অনেক নারীদেরকে উল্লেখ করেন। এই উল্লিখিত নারীদের মধ্যে অনেকের সম্বন্ধে বেশি তথ্য জানা নেই, কিন্তু কয়েকজন নারী আছে, যারা প্রথম মণ্ডলীতে নেতৃত্ব দেন এবং প্রভবশালী ভূমিকা পালন করেন। লূকের লেখাগুলোতে, অর্থাৎ লূক সুসমাচার ও প্রেরিত পুস্তকে এবং পৌলের লেখাগুলোতে আমরা বেশ কয়েকজন মহিলার নাম পাই। নীচে তাদের তালিকা দেওয়া হয়েছে:
- লূক ১:৫-৭ এলীশাবেত, পুরোহিত সখরিয়ের স্ত্রী, বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মা।
- লূক ১:২৭ যীশুর মা মরিয়ম, যোষেফের স্ত্রী এবং আরো ভাই-বোনদের মা (মথি ১৩:৫৬, মার্ক ৬:৩)।
- লূক ২:৩৬-৩৮ পনূয়েলের কন্যা মহিলা-ভাববাদী হান্না, যিনি শিশু যীশুকে মুক্তিদাতা হিসাবে ঘোষণা করে তার সম্বন্ধে বাণী দেন।
- লূক ৮:১-৩ যীশুর মহিলা শিষ্যরা: মগদলীনীর মরিয়ম, হেরোদের কর্মচারী কূষের স্ত্রী যোহানা, শোশন্না এবং আরো অনেক মহিলারা।
- লূক ১০:৩৮-৪২, যোহন ১১:৫ মার্থা ও মরিয়ম, লাসারের বোনেরা, যারা যীশুর বন্ধু, অতিথিসেবক এবং শিষ্য।
- যোহন ১৯:২৫ নারীরা যারা যীশুকে ক্রুশে দেওয়ার সময় উপস্থিত: যীশুর মা মরিয়ম, মরিয়মের বোন, ক্লোপার স্ত্রী মরিয়ম, মগদলীনীর মরিয়ম।
- মথি ২৮:১, মার্ক ১৬:১, লূক ২৪:১০ নারীরা যারা যীশুর পুনরুত্থানের সময় তার কবরে উপস্থিত: মগদলীনীর মরিয়ম, ‘সেই অন্য মরিয়ম’, যাকোবের মা মরিয়ম, শালোমী, যোহানা।
- প্রেরিত ১:১৪ যিরূশালেমের প্রথম মণ্ডলীতে নারীরা: যীশুর মা মরিয়ম, অন্যান্য বিশ্বাসী মহিলারা।
- প্রেরিত ২:১৭-১৮ মেয়েরা ও দাসীরা আত্মার পরিচালনায় ভাববাদী হিসাবে ঈশ্বরের বাক্য বলবে।
- প্রেরিত ৫:১ অননিয়ের স্ত্রী সাফীরা, যারা জমি বিক্রি করে মণ্ডলীতে দান করে – যদিও এই ব্যাপারি মিথ্যা বলে শাস্তি পায়।
- প্রেরিত ৬:১ মণ্ডলী উভয় ইব্রীয় ও গ্রীক ভাষায় কথা বলার বিধবাদেরকে দেখাশোনা করে।
- প্রেরিত ৯:৩৬ যাফো শহরের মণ্ডলীতে টাবিথা বা দর্কা নামে একজন সেবাকারী নারী।
- প্রেরিত ১২:১২-১৩ যোহন মার্কের মা মরিয়ম, বার্ণবার বোন, যিনি অত্যাচারের সময়ে মণ্ডলীকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন। রোদা নামে একজন চাকরাণী।
- প্রেরিত ১৬:১৪ থুয়াতীরার ব্যবসায়ীনী লুদিয়া, যিনি ফিলিপী শহরে বিশ্বাসী হয়ে বিশ্বাসীদের হোস্ট হন।
- প্রেরিত ১৭:১২ থিষণনীকী শহরে উঁচু শ্রেণীর কয়েকজন মহিলারা বিশ্বাসী হয়ে যায়।
- প্রেরিত ১৭:৩৪ এথেন্স শহরে দামারিস নামে একজন নারী বিশ্বাসী হয়ে যায়।
- প্রেরিত ১৮:১-২ আকিলার স্ত্রী প্রিষ্কিল্লা, যিনি স্বামীর সাথে মণ্ডলীর নেতা ও শিক্ষক।
- প্রেরিত ২১:৯ ফিলিপের ৪জন অবিবাহিতা কন্যারা সবাই ভাববাদী।
- রোমীয় ১৬:১-২ কিংক্রিয়া মণ্ডরীর পরিচারিকা্ এবং পৌলের রোমীয় চিঠির বাহক ফৈবী।
- রোমীয় ১৬:৬ মরিয়ম, যিনি রোমীয় বিশ্বাসীদের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন।
- রোমীয় ১৬:৭-৮ যূনিয় / যূনিয়া, যিনি (স্বামী?) আন্দ্রনীকের সাথে প্রেরিত ভূমিকা পালন করে। তারা যিহূদী এবং বর্তমানে বন্দী, কিন্তু প্রেরিতদের মধ্যে সম্মানিত।
- রোমীয় ১৬:১২ ত্রোফেণা ও ক্রুফোষা, হতে পারে দু’জন বোন, যারা প্রভুর জন্য পরিশ্রম করেন।
- রোমীয় ১৬:১৩ ‘স্নেহের পর্ষিস’, যিনি ‘প্রভুর জন্য অনেক কাজ করেন’।
- রোমীয় ১৬:১৩ রূফের মা, যিনি পৌলেরও মা হয়েছেন।
- রোমীয় ১৬:১৫ যুলিয়া এবং নিরীয়ের বোন।
- ১ করিন্থীয় ১:১১ ক্লোয়ী, যিনি গৃহমণ্ডলীর নেত্রী এবং যার কথা অনুসারে পৌল ১ করিন্থীয় চিঠি লেখেন।
- ফিলিপীয় ৪:২ উবদিয়া ও সুন্তখী, যারা পৌলের সাথে সুখবরের জন্য কষ্ট স্বীকার করেছিলেন।
- কলসীয় ৪:১৫ গৃহ মণ্ডলীর নেত্রী নূম্ফা।
- ১ তীম ২:১২ একজন নির্দিষ্ট মহিলা ভুল শিক্ষা দিচ্ছে বলে তাকে থামাতে হবে এবং তাকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে।
- ২ তীম ১:৫ তীমথিয়ের দিদিমা লোয়ী এবং তার মা উনীকি বিশ্বাসী ছিলেন এবং তীমথিয়কে বিশ্বাসে বড় করেছেন।
- ২ তীম ৪:২১ রোম শহরের মণ্ডলীতে ক্লৌদিয়া।
- ফিলীমন ১ বোন আপ্পিয়া।
টাবিথা-দর্কা – একজন উদার সেবাকারী যাকে মারা যেতে দেওয়া হয় না
- যিরূশালেম মণ্ডলী যখন অত্যাচারিত হয় তখন বিশ্বাসীরা যিহূদিয়া, শমরিয়া এবং চারিদিকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তারা সেখানে সুখবর প্রচার করতে থাকে যার ফলে বিভিন্ন শহরে মণ্ডলী স্থাপিত হয়, যেমন লূদ্দা ও যাফো, যিহূদিয়ার নৌবন্দর শহর।
- পিতর যখন লুদ্দা শহরে ঐনিয় নামে একজন অবশ রোগীকে সুস্থ করেন, তখন কাছাকাছি যাফো শহরের বিশ্বাসীরা পিতরকে তাদের কাছে আসতে অনুরোধ করেন, কারণ টাবিথা নামে তাদের একজন বিশ্বাসী এইমাত্র মারা গিয়েছেন।
- টাবিথার অন্য নাম দর্কা, উভয় নামের অর্থ হল গজেল। মহিলারা তার জন্য কান্না করে এবং টাবিথা বেঁচে থাকার সময়ে সবার উপকারে যে জামা ও কাপড়-চোপড় বানাতেন, তারা সেগুলো পিতরকে দেখায়।
- পিতর মৃত টাবিথার জন্য প্রার্থনা করেন এবং তিনি পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠেন।
- এই মহিলাটি তার সেবাকাজ, উপকার করা এবং উদারতার জন্য অনেক সুনাম ও জনপ্রিয়তা ছিল (প্রেরিত ৯:৩৬)।
- তিনি জামা ও কাপড়-চোপড় বানাতেন, হতে পারে গরীবদের জন্য (প্রেরিত ৯:৩৯)।
- টাবিথার জন্য তাদের স্নেহ আরো প্রকাশ পায়: বিশ্বাসীরা তার মৃত দেহের জন্য কত যত্ন নেন (প্রেরিত ৯:৩৭) এবং লোক পাঠিয়ে পিতরকে লুদ্দা থেকে নিয়ে আসেন (প্রেরিত ৯:৩৮)।
- তারা আশা ধরে রেখে উত্তর পায়: পিতরের প্রার্থনায় টাবিথা পুনরায় জীবিত হয়ে যান।
করিন্থীয় মণ্ডলীর একজন গৃহমণ্ডলীর নেত্রী ক্লোয়ী, যার কথার উপর পৌল নির্ভর করেন
- ক্লোয়ীর বিষয়ে নতুন নিয়মের মাত্র এক পদ পাওয়া যায় (১ করিন্থীয় ১:১১)। পৌল ক্লোয়ীর বিষয়ে বলেন: “আমার ভাইয়েরা, তোমাদের সম্বন্ধে ক্লোয়ীর বাড়ীর লোকদের কাছে এই খবর পেলাম যে, তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ রয়েছে।”
- ক্লোয়ীর নাম গ্রীক; নামের অর্থ হল ‘সবুজ’। ক্লোয়ীর নাম প্রেরিত পুস্তকে উল্লেখ নেই এবং যখন পৌল করিন্থ শহরের সর্বপ্রথম কয়েকজন বিশ্বাসীদের নাম উল্লেখ করেন, তখনও তার নাম পাওয়া যায় না (১ করিন্থীয় ১:১৪-১৭)। তবুও ক্লোয়ী পৌলকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। পৌল দেড় বছর করিন্থ শহরে মণ্ডলী স্থাপন করার জন্য সময় নেন এবং ধারণা করা যায় যে, ক্লোয়ী করিন্থীয় মণ্ডলী স্থাপনের শুরু দিকে বিশ্বাসী হয়ে যান।
- “ক্লোয়ীর বাড়ির লোকেরা” এই কথার অর্থ কি? গ্রীক ভাষায় এখানে যে শব্দ পাওয়া যায় (Strong’s number G3588), তা অনুবাদ করা যায় “ক্লোয়ীরা”, “ক্লোয়ীর লোকেরা”, “ক্লোয়ীর বাড়ির লোকেরা”। এই শব্দটি নতুন নিয়মের বিভিন্ন পদে গৃহ মণ্ডীকে বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত। নীচে কিছু পদ দেওয়া হয়েছে যাতে সেই একই শব্দ ব্যবহৃত:
- রোমীয় ১৬:৫ প্রিষ্কিল্লা ও আকিলার লোকেরা / প্রিষ্কিল্লা ও আকিলার বাড়িতে যারা মিলিত হয়।
- রোমীয় ১৬:১০ আরিষ্টবুলের বাড়ীর লোকেরা
- রোমীয় ১৬:১১ নার্কিসের বাড়ীর লোকেরা
- রোমীয় ১৬:১৪ ফ্লিগোন, হের্মেস, পাত্রোবাস, হের্মাসের লোকেরা
- শব্দটি বিভিন্ন গৃহমণ্ডলীর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এবং যার নাম উল্লেখ, তাকে আমরা গৃহ মণ্ডলীর হোস্ট ও নেতা হিসাবে ধরি। তাই উপসংহারে আসা যায় যে, ক্লোয়ী একটি গৃহ মণ্ডলীর নেত্রী ছিলেন।

- ক্লোয়ীর ভূমিকার গুরুত্ব এবং তার বিষয়ে পৌলের মন্তব্য আরো গভীরভাবে বুঝার জন্য আমাদেরকে করিন্থীয় মণ্ডলীর ইতিহাস ও পরিস্থিতি লক্ষ্য করতে হবে: পৌলের দ্বিতীয় প্রচার যাত্রায় পৌল, আকিলা ও প্রিষ্কিল্লা (স্বামী-স্ত্রী) এবং পৌলের সহকর্মী সীল ও তীমথিয় করিন্থ শহরে একটি মণ্ডলী স্থাপন করেন (প্রেরিত ১৮:১-১৮)।
- এই উদ্দেশ্যে পৌল প্রায় ১৮ মাস ধরে, অর্থাৎ ৫০-৫২ খ্রীষ্টাব্দে করিন্থ শহরে প্রচার, করেন, শিষ্যত্ব দান করেন ও শিক্ষা দেন – এবং সঙ্গে তাম্বু সেলাইয়ের কাজও করেন।
- যদিও স্থানীয় যিহূদীদের থেকে বেশ বাধা আসে, পৌল একটি প্রাণবন্ত মণ্ডলী স্থাপ করতে সক্ষম হন। দেড় বছর পরে পৌল, আকিলা, প্রিষ্কিল্লা ও পৌলের সহকর্মী করিন্থ ছেড়ে ইফিষ শহরে নতুন কাজ শুরু করার জন্য রওনা দেন।
- পৌল তার তৃতীয় প্রচার যাত্রায় প্রায় ৩ বছর ইফিষ শহরে কাটান (৫৩-৫৫ খ্রীঃ)।
- ইফিষে থাকতে পৌল করিন্থীয় মণ্ডলী সম্বন্ধে কিছু দুশ্চিন্তার খবর পান।
- উত্তরে তিনি তাদের কাছে একটি চিঠি লেখেন যা আমাদের বাইবেলে নেই, কিন্তু যা তিনি ১ করিন্থীয় ৫:৯ পদে উল্লেখ করেন।
- দেখা যায় যে করিন্থীয় বিশ্বাসীরা পৌলের চিঠি ভুল বোঝে, যার কারণে পৌল ১ করিন্থীয় চিঠিতে কিছু সংশোধনের কথা লেখেন।
বোধ হয যে করিন্থীয় মণ্ডলীর অবস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় ক্লোয়ী, যিনি এগুলো দেখে দুশ্চিন্তিত, পৌলের কাছে কিছু বিশ্বাসযোগ্য লোকদের মাধ্যমে খবর পাঠিয়ে দেন, মণ্ডলীতে কি কি চলছে (১ করি ১:১১)। ক্লোয়ী লোক পাঠানোর পাশাপাশি করিন্থীয় মণ্ডলীও কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য ৩জন লোকের হাতে পৌলের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে দেয় (স্তিফান, ফর্তুনাত ও আর্খায়িক, ১ করি ১৬:১৭)।
ক্লোয়ীর লোকদের এবং সেই ৩জন লোকের খবর পেয়ে পৌল ১ করিন্থীয় চিঠি লিখে পাঠান। এই চিঠিতে পরিষ্কারভাবে দেখা যায় যে পৌল ১-৬ অধ্যায়ে ক্লৌয়ীর কথা অনুসারে লেখেন এবং ৭-১৬ অধ্যায়ে মণ্ডলীর প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। চিঠিটি তাই পরিষ্কারভাবে দুই বিভাগে বিভক্ত এবং ১ করি ৭:১ পদে তা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়: “তোমরা আমাকে যে সব বিষয় সম্বন্ধে লিখেছ এবার তার উত্তর দিচ্ছি …”।
১-৬ অধ্যায়ে পৌল জ্ঞান, আত্মিক দান ও নেতৃত্বের বিষয়ে করিন্থীয়দের ভুর চিন্তা, মণ্ডলীতে বিভেদ, অহংকার ও স্বার্থপরতা, শরীরের ভুল ব্যবহার, যৌন-অনৈতিকতা ও বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর বিষয়ে লেখেন। ৭-১৬ অধ্যায়ে পৌল বিবাহ, প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা মাংস, সুখবরের কর্মীদের পাওনা, উপাসনায় উপযুক্ত ব্যবহার, আত্মিক দান ও এর সঠিক ব্যবহার, যীশুর পুনরুত্থান এবং ভালবাসার গুরুত্ব বিষয়ে লেখেন।
লক্ষণীয় বিষয় যে, পৌল যত বিষয় ১-৬ অধ্যায়ে তোলেন, করিন্থীয়রা সেগুলো ‘সমস্য’ মনে করে নি। মাত্র ক্লোয়ী সেগুলো যথেষ্ট খারাপ ও দুশ্চিন্তার বিষয় মনে করেন, এমন যে তিনি পৌলের কাছে লোক পাঠাতে প্রয়োজন মনে করেন। দেখা যায় যে পৌল ক্লোয়ীর সাথে এক মত হয়ে সেই বিষয়গুলো বড় সমস্যা মনে করে প্রথমই তোলেন।
চিন্তা করুন, এভাবে সাগর পার করে পৌলের কাছে লোকদের পাথানোর জন্য ক্লোয়ীর কত সাহস, নিশ্চয়তা ও খরচ লেগেছিল, তাতে বুঝা যায় তিনি বিষয়টি কত জরুরী মনে করেছিলেন! সম্ভাবনা বেশি যে, ক্লোয়ী মণ্ডলীকে বিভিন্নভাবে ভাল দিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তার সংশোধনে কেউ সাড়া দেয় নি। অন্য উপায় না পেয়ে এবং বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী মনে করে তিনি উপসংহারে আসেন যে, পৌল ছাড়া সমাধান হবে না। তাই তিনি তার কাছে লোক ও খবর পাঠিয়ে দেন।
আরো চিন্তা করুন, ক্লোয়ীর উপর পৌলের কত বিশ্বাস ছিল! ক্লোয়ীর রিপোর্ট, তার লক্ষ্য, মূল্যায়ন, বিচার বুদ্ধি ও আত্মিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে পৌল তার চিঠির একটি বড় অংশ লেখেন!
এখানে আমরা একজন নারী পাই, যিনি করিন্থ শহরে একটি গৃহমণ্ডলীর নেত্রী, যিনি মণ্ডলীকে যখন ভাল পথে আনাতে সক্ষম হন না তখন কোন বাধা বা ভয় বা স্বামর্থের সমস্যা অজুহাত হতে না দিয়ে বরং যা প্রয়োজন, তা-ই করেন: স্থাপনকারীকে জানানো যে, তার মণ্ডলী ভ্রান্ত পথে আছে। পৌল ক্লোয়ীর চরিত্র, স্বার্থহিনতা, যত্ন, মূল্যায়ন ও সুবিচারের উপর এত নির্ভর করে যে, তিনি তার ভিত্তিতে ১ করিন্থীয় চিঠি লেখেন।
ফৈবী – মণ্ডলীর পরিচাারিকা এবং পৌলের চিঠির বিশ্বাসযোগ্য বাহক
- পৌল রোমীয় ১৬:১-২ আর একজন আদর্শ নেত্রীর কথা উল্লেখ করেন “এবার আমি আমাদের বোন ফৈবীর বিষয় তোমাদের কাছে সুপারিশ করছি। তিনি কিংক্রিয়া শহরের মণ্ডলীর পরিচারিকা। ঈশ্বরের লোকদের যেভাবে আপন করে নেওয়া উচিত তাঁকে তোমরা প্রভুর নামে সেইভাবেই আপন করে নিয়ো। কোন ব্যাপারে যদি তিনি তোমাদের সাহায্য চান তবে তাঁকে সাহায্য কোরো, কারণ তিনি অনেক লোককে, এমন কি, আমাকেও সাহায্য করেছেন।”
- পৌল ফৈবীকে করিন্থ শহরের কাছাকাছি কিংক্রিয়া মণ্ডলীর “পরিচারিকা” বলেন। মাঝের মধ্যে তা “দাস”, “সেবাকারী” বা “ডিকোন” হিসাবেও অনুবাদ করা হয়। গ্রীক ভাষায় ব্যবহৃত শব্দ হল G1249 “diakonos”, যার সরাসরি অর্থ হল দাস। শব্দটি আরো ভালভাবে বুঝার জন্য আমাদের দেখা দরকার, শব্দটি কার বর্ণনায় ব্যবহার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদে কিভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। “diakonos” কার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত? নীচের তালিকায় দেখুন:

- বিশ্বাসীরা, শিষ্যেরা ও নেতারা (মথি ২০:১৬, ২৩:১১, মার্ক ৯:৩৫, ১০:৪৩, যোহন ১২:২৬, ২ করি ৩:৬)
- প্রেরিতেরা (২ করিন্থীয় ৬:৪, ১১:১৫, ১১:২৩)
- সরকার (রোমীয় ১৩:৪)
- যীশু (রোমীয় ১৫:৮, গালা ২:১৭)
- পৌল (১ করিন্থীয় ৩:৫, ইফি ৩:৭, ফিলিপূয় ১:১, কলসীয় ১:২৩, ১:২৫)
- আপোল্ল (১ করিন্থী ৩:৫)
- তুখিক (ইফিষীয় ৬:২১, কলসীয় ৪:৭)
- তীমথিয় (ফিলিপীয় ১:১, ১ থিষ ৩:২, ১ তীম ৪:৬)
- ইপাফ্রা (কলসীয় ১:৭)
- ফৈবী (রোমীয় ১৬:১)
- মণ্ডলীর নেতৃত্ব (১ তীমথীয় ৩:৮, ৩:১২)
- তাই বুঝা যায় যে পৌল যে শব্দটি দিয়ে ফৈবীকে বর্ণনা করেন, তা বেশিরভাগ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত। ফৈবী কিংক্রিয়া মণ্ডলীর একজন নেত্রী।
- পৌল ফৈবীর বিষয়ে আরো সুপারিশ করে বলেন, “তিনি অনেক লোককে, এমন কি, আমাকেও সাহায্য করেছেন”।
- পৌল তাকে অনেক লোকদের এবং এমন কি পৌলের সেবাকারী, উপকারকারি ও সাহায্যকারী বলেন।
- পদগুলো ভাল করে পড়লে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ফৈবী রোমীয় মণ্ডলীর কাছে পৌলে চিঠি রোমে নিয়ে যান, অর্থাৎ তিনি চিঠির বাহক।
- রোমীয় মণ্ডলীকে আশীর্বাদ করার জন্য তিনি এই প্রায় ৪ সপ্তার ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করতে রাজি হন।
- পৌল রোমীয় মণ্ডলীর কাছে ফৈবীর জন্য সুপারিশ করে তাদেরকে অনুরোধ করেন, যেন তারা ফৈবীকে সম্মান ও স্নেহের সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং তাকে ব্যবহারিক বিষয়ে অবশ্যই সাহায্য করেন।
- পৌলের সবচেয়ে লম্বা ও সবচেয়ে বিখ্যাত চিঠি একজন নারীর মধ্য দিয়ে করিন্থ থেকে রোমে পৌঁছানো হয়!
- এভাড়া বলা দরকার যে, চিঠির বাহক শুধুমাত্র চুপ করে চিঠিটি পৌঁছিয়ে দিতেন, এমন নয়। তারা লেখকের প্রতিনিধি, সংবাদদাতা ও উৎসাহদানকারী হিসাবেও ভূমিকা পালন করতেন।
- তারা পৌল সম্বন্ধে আরো খবরাখবর দিতেন এবং প্রয়োজন হলে পৌলের লিখিত কথা আরো বুঝিয়ে দিতেন (কলসীয় ৪:৭-৮, ফিলিপীয় ২:১৯-২৪)।
- বুঝা যায় যে, পৌল ফৈবীর উপর ভরাসা ও বিশ্বাস রাখেন যে, তিনি চিঠিটি পৌঁছানোর সাথে সাথে তার নিজের প্রতিনিধি হিসাবেও দাঁড়াতে পারে।
- মনে রাখুন, পৌল এখনও রোম শহরে যান নি কিন্তু তিনি শিঘ্রই রোমীয় মণ্ডলীর কাছে বেড়াতে আসতে চান (রোমীয় ১৫:২২), তাদেরকে এমন কি পূর্ব দিকে তার ভবিষ্যৎ পরিচর্যার কেন্দ্র বানাতে চান (রোমীয় ১৫:২৪)।
- তাই এই চিঠি একটি ‘দরজা খোলার চিঠি’ও বটে।
- তাই ফৈবীর আচার-ব্যবহারের উপর আরো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
- যদি তিনি ভাল আচার-ব্যবহার, অনিন্দনীয় চরিত্রের, দক্ষতার ও প্রজ্ঞার লোক না হতেন, পৌল তাকে নিজের প্রতিনিধি হিসাবে এভাবে পাঠাতেন না।
প্রিষ্কিল্লা – প্রথম মণ্ডলীতে একজন নেত্রী ও চমৎকার শিক্ষিকা
- পৌল যখন তার দ্বিতীয় প্রচার যাত্রায় করিন্থ শহরে পৌঁছান, তখন তিনি প্রথম আকিলা ও প্রিষ্কিল্লার সাথে পরিচিত হন (প্রেরিত ১৮:১-২)।
- স্বামী আকিলা হলেন পন্ত প্রদেশ থেকে একজন যিহূদী। তার নাম ল্যাটিন (যার অর্থ ‘ঈগল’)।
- প্রিষ্কিল্লার নামও ল্যাটিন (যার অর্থ ‘প্রাচীন’), কিন্তু তিনি জন্মগত যিহূদী বা যিহূদী ধর্মে ধর্মান্তরিত একজন পরজাতি বা সরাসরি খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত একজন পরজাতি, তা জানা যায় না।
- এই দম্পত্তি রোম থেকে করিন্থ শহরে চলে এসেছেন, কারণ সম্রাট ক্লৌদিয় ৪৯ খ্রীষ্টাব্দে সব যিহূদীদের ইট্যালি থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন।
- তারা কি রোম শহরে থাকার সময় খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসী হয়েছিলেন? না কি পৌলের সংস্পর্শে এসে করিন্থ শহরে বিশ্বাসী হয়েছিলেন? আমরা জানি না।
- আকিলা ও প্রিষ্কিল্লার জীবনের বিষয়ে নতুন নিয়মের লেখাগুলো থেকে একটি সময় তালিকা বানানো যায়:
- ৪৯ খ্রীষ্টাব্দের আগে তারা রোমে আছেন।
- ৪৯ খ্রীঃ ক্লৌদিয়ের আদেশের কারণে তাদের রোম ও ইট্যালি ছেড়ে যেতে হয়।
- ৫০-৫২ খ্রীঃ তারা করিন্থে আসে, যেখানে তারা পৌলের সঙ্গে থাকে, কাজ করে এবং পরিচর্যা করেন। পৌলের মত আকিলার পেশা হল তাম্বু সেলাই।
- ৫২ খ্রীঃ তারা ইফিষ শহরে চলে আসেন। পৌল তাদের সেখানে রেখে চলে চান, পরে তাদের সাথে আবার যুক্ত হন (প্রেরিত ১৮:১৮)। তারা একসঙ্গে ইফিষ শহরে পরিচর্যা করেন।
- ৫৩-৫৪ খ্রীঃ প্রিষ্কিল্লা আপোল্ল নামে একজন প্রতিশ্রুতিশীর যিহূদী পরিচর্যাকারীকে আরো শিক্ষা দান করেন (প্রেরিত ১৮:২৪-২৮)।
- ৫৫ খ্রীঃ পৌল যখন ১ করিন্থীয় চিঠি লেখেন, আকিলা ও প্রিষ্কিল্লা পৌলের সঙ্গে ইফিষে আছেন (১ করিন্থীয় ১৬:১৯)।
- ৫৬ খ্রীঃ তারা রোম শহরে ফিরে গিয়ে সেখানে একটি গৃহ মণ্ডলীর নেতা হয়ে যান (রোমীয় ১৬:৩-৫)।
- ৬৪ খ্রীঃ? যখন পৌল তীমথয়কে তার শেষ চিঠি পাঠান, তিনি আকিলা ও প্রিষ্কিল্লাকেও সুভেচ্ছা পাঠান (২ তীম ৪:১৯)। সম্ভবত, তীমথিয় সেই সময় ইফিষ শহরে আছেন। তাই ধারণা করা যায় যে, প্রিষ্কিল্লা ও আকিলা আবার ইফিষ শহরে চলে এসেছেন।
- আর একটি লক্ষণীয় বিষয় হল যে, কিছু পদে স্বামীর নাম আগে দেওয়া হয়েছে, অন্য পদগুলোতে স্ত্রীর নাম আগে দেওয়া হয়েছে:
- প্রেরিত ১৮:২ “আকিলা ও প্রিষ্কিল্লা”
- প্রেরিত ১৮:১৮ “প্রিষ্কিল্লা ও আকিলা”
- প্রেরিত ১৮:২৬ “আকিলা ও প্রিষ্কিল্লা”
- ১ করিন্থীয় ১৬:১৯ “আকিলা ও প্রিষ্কিল্লা”
- রোমীয় ১৬:৩ “প্রিষ্কিল্লা ও আকিলা”
- ২ তীমথিয় ৪:১৯ “প্রিষ্কিল্লা ও আকিলা”
- আসলে তারা স্বামী ও স্ত্রী উভয় শক্তিশালীভাবে পরিচর্যা করেন, তারা একসাথে মণ্ডলী স্থাপন, প্রচার, শিক্ষা দান, শিষ্যত্ব দান, মণ্ডলীর নেতৃত্বে এবং নেতাদের প্রশিক্ষণ কাজে ব্যস্ত।
- ঠিক অর্ধেক পদে স্বামীর নাম আগে, ঠিক অর্ধে পদে স্ত্রীর নাম আগে দেওয়া হয়েছে।
- এইটা থেকে বুঝা যায় যে, প্রিষ্কিল্লা শুধুমাত্র ‘গৃহীনী’ নন (যদিও এতবার বিভিন্ন শহরে বাস করা, এতবার সংসার সরানো এবং এত কিছু বাসায় হোস্ট করা অবশ্যই ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের), তিনি নিজেই প্রভাবশালী পরিচর্যাকারি।
- সম্ভাবনা বেশি যে, যেখানে প্রিষ্কিল্লার নাম আগে দেওয়া হয়েছে, সেখানে তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তিনিই বাইরে দিকে ‘পরিচর্যার মুখ’।
নূম্ফা – একজন গৃহ মণ্ডলীর নেত্রী
- কলসীয় চিঠিতে পৌল বলেন “নুম্ফা ও তাঁর বাড়ীতে যে লোকেরা মণ্ডলী হিসাবে জড়ো হয়, তাঁদেরও শুভেচ্ছা জানায়ো” (কলসীয় ৪:১৫)।
- “তার বাড়িতে লোকেরা মণ্ডলী হিসাবে জড়ো হয়” – যদি একজন পুরুষের ক্ষেত্রে তা বলা হয়, তবে আমরা তাকে সেই গৃহ মণ্ডলীর নেতা হিসাবে ধরি।
- কিন্তু যদি একই কথা একজন নারীর ক্ষেত্রে বলা হয় (যেমন এখানে নূম্ফার ক্ষেত্রে), তবে উপসংহারে আসা হয় যে, নারীটি তার বাড়ীতে মণ্ডলীকে হোস্ট করে, কিন্তু নারীকে আমরা গৃহ মণ্ডলীর নেত্রী হিসাবে ধরি না।
- এভাবে এক এক পদে একই কথা বা শব্দ এক এক ব্যাখ্যা করা, প্রকৃতপক্ষে বাইবেল এটা সমর্থন করে না। যদি পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে একই গ্রীক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তবে তা একইভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত।
- যদি আমরা এখানে পার্থক্য করি, তবে তার বাইবেলীয় কোন ভিত্তি নেই, তা আমাদের ‘আগের ধারণা’ এবং ‘ঐতিহ্য দিয়ে প্রভাবিত চিন্তা’ থেকে আসে।
- পৌল নূম্ফার গৃহ মণ্ডলী এখানে কলসী, লায়দিকেয়া ও ইয়রাপলি শহরে মণ্ডলীগুলোর পাশাপাশি উল্লেখ করেন। সম্ভবত, নূম্ফার মণ্ডলী এই ৩টি শহরের কাছাকাছি কোনো জায়গায় অবস্থিত ছিল।
আন্দ্রনীক্ ও যূনিয় – একটি প্রেরিত দম্পত্তি যাদেরকে পৌল সম্মান করেন
- পৌল তার তৃতীয় প্রচার যাত্রার শেষ দিকে প্রায় ৫৬ খ্রীষ্টাব্দে করিন্থ শহর থেকে রোমীয় মণ্ডলীর কাছে তার চিঠি লেখেন, যার মাধ্যমে তিনি রোমীয় মণ্ডলীর কাছে তার ভবিষ্যৎ পরিদর্শনের বিষয়ে জানিয়ে দেন এবং পশ্চিম দিকে আরো পরিচর্যা কাজের জন্য তাদের সাহায্য চান (রোমীয় ১৫:১৯-২৯)।
- যদিও পৌল এখনও রোম শহরে যান নি, তবুও তিনি চিঠির শেষ অধ্যায়ে (রোমীয় ১৬) ২৭জন ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করে সুভেচ্ছা জানাছেন!
- এই তালিকার মধ্যে আমরা একটি দম্পত্তির জন্য পৌলের বিশেষ সুপারিশ পাই: “আন্দ্রনীক্ ও যূনিয়কে শুভেচ্ছা জানায়ো। তাঁরা আমারই মত যিহূদী এবং আমার সংগে তাঁরাও জেলে বন্দী ছিলেন। প্রেরিত্দের মধ্যে তাঁরা খুব সম্মানিত লোক। তাঁরা আমার আগেই খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেছিলেন” (রোমীয় ১৬)।
- দেখা যায় যে, আন্দ্রনীক ও যূনিয় ছিলেন পৌলের মত যিহূদী, পৌলের সহ-প্রেরিত ও সহ-বন্দী।
- একসাথে সেই বন্দীদশা এবং তাদের নাম প্রেরিত পুস্তকে উল্লেখ নেই।
- এছাড়া পৌল বলেন যে, তারা “আমার আগেই খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেছিলেন”, অর্থাৎ তারা ৩৪ খ্রীষ্টাব্দের আগে বিশ্বাসী হয়েছিলেন।
- তাই তারা প্রথম মণ্ডলীর খুব আগের ধর্মান্তরিত লোক। পৌল তাদেরকে শুধুমাত্র প্রেরিত পদবি দেন না, তিনি তাদেরকে “প্রেরিতদের মধ্যে খুব সম্মানিত” বলেন, যা প্রকৃতপক্ষে খুব বড় প্রশংসা।
- “যূনিয়” (বা ইংরেজিতে “Junia”) হল গ্রীক শব্দ G2458 “Iounias”-এর অনুবাদ, যা উভয় পুরুষ অথবা মহিলার নাম হতে পারে।
- পদটিতে তাকে প্রেরিত বলা হয়েছে, একারণে প্রায়ই নামটিতে পুরুষ-ভাব দিয়ে (“যূনিয়”) শব্দটি অনুবাদ করা হয়েছে।
- কিন্তু একইভাবে সম্ভব যে, আমরা এখানে “আন্দ্রনীক্ ও যূনিয়া” নামে একটি শক্তিশালী স্বামী-স্ত্রী পরিচর্যা দল পাই, যেমন আমরা আগে আকিলা ও প্রিষ্কিল্লা এবং পিতর ও তার স্ত্রীকে পেয়েছি (১ করিন্থীয় ৯:৫)।
- নারীরাও প্রেরিত ভূমিকা পালন করতেন!